পুরোপুরিভাবে আমার লেখা,
আমার জীবনের এক দিন,
দিনের শেষে ফিরে দেখা,
একইভাবে চলে দিনের পর দিন।
ঘুম ভাংগলো, উঠতে জড়তা,
যাব কি যাবনা, চলে দ্বন্দ সর্বদা,
তবে আজ ছিল মাথাব্যাথা,
তাই বিছানা ছেড়ে sofa তে শোয়া।
ঘুম হয়েছে কিনা,জানতে ইচ্ছে,
বেচারা কাল হাটতে হয়েছে অদরকারে,
মুখটা ছিল শুকনো শুকনো,
হাটুওতে ব্যাথা ছিল যেন।
ঘুম আর আসেনা আর,
শুয়ে থাকি মিছে বার বার,
অফিস যাব না আর,
বলে দিলাম একবার।
অনেক পরে এল ফোন,
যেন মন্দিরের ঘন্টায় জেগে উঠল মন,
এক মুহুরত কথা তবু
চলে যায় সব অবসাদ।
ঘর অগোছালো, ইচ্ছে করে গোছাতে,
কিন্তু মন পড়ে রয় অন্যখানে,
আম্মা এসেছে,যাক ভাল হল,
পুরো ঘরটা বোধহয় একটু আদর পেল।
মেয়েটা কথা বলে,মাঝখানে,
ভালো আছি,চিন্তা না করতে বলি তারে,
অফিসে আছে,সকাল সকাল,
সবে শুরু আরো কত ঘন্টা।
জোর করে উঠে করি পরিস্কার
রান্না ঘর,কিছু তো করব আর,
মাছ বরফ,আলুতে গাছ,
বসিয়ে দিলাম কড়াই তে কাজ।
যাই এবার স্নান করতে,
ছোটোটা করছে কি জানে,
মনে করতে না করতে ফোন এল,
আমার মতই তো ভাবে যেন।
গলার আওয়াজের অনুভুতি
দিয়ে যায় প্রান ফিরে,
খুশীর আওয়াজ মিলিয়ে বলি,
রান্না আমার হয়ে গেছে আগে,
আমার কথায় কত খুশী সে,
আমার কি হবে,ভাবে সে যে।
দুপুরবেলা ঘুমিয়ে পড়ি,
ঘন্টাখানেক কোন মত সোফাতে,
জ্বর টা বাড়ল একটু,
অশুধ খেয়ে নিই কথামতো।
বিকেল হল, মেসেজ নেই,
ফোনও নেই, গেছে ভুলে,
হল অভিমান,না বলব কথা,
না দেখব লেখা,না করব মনে।
সবকিছু যেন ফাঁকাফাঁকা,
সারাটা দিন না টিভি দেখা,
সবনিয়ে হয়ত মিনিট পাচেক হবে,
বাইরের সাথে কথা বলা।
হঠাত যেন বৃষ্টি এল,
ঘন কালোমেঘে অসাধারে বরষন,
তার কলকলানিতে কোথায় গেল,
ধুয়ে মনের কালিমা যেমন।
এইজন্য তো সে মায়াময়ী
সব জানে আমার,প্রতি মুহুরত,
তাই ২৪ ঘন্টায় মাত্র হল দুই পল কথা,
জানি আমি,সাথি আমার জানে মনের ব্যাথা।
রাতে ঘুমোবার আগে,প্রস্ন করে আবার,
দিনের শেষে,ছোটোর ছোয়া বালিসে ঘুমোবার,
কত না চিন্তা করে সবার জন্য,
কই মুখ ফুটে চাইলনা কিছু।