ছোটোবেলায় দেখতাম লেকের পাশে,
জোড়ায় জোড়ায় সব বসে আছে,
হাত ধরাধরি, কাধে মাথা রাখি,
কৃষ্ণচূড়ার নিচে বলা, গোপন কথাটি।
তখন জানতাম, শুধু প্রেম-খেলা বলে,
এখন তাই, valentine নামে চলে,
বলতাম তাদের, ভাগ্য করে এসেছিস,
এত কম বয়সে প্রেমখেলা খেলছিস।
বিধাতার চিন্তাধারা হয়ত ছিল অন্য,
পুতুলখেলার ছলে সন্সার শিক্ষা যেন,
অনুশোচনা আর বিবেকের লড়াইএ,
শিখি ভালোবাসার গভীরতম অর্থ।
“আমার সোনার টুকরো ছেলে”
মা যখন বলত,
ফিরতে দেরি হলে বাবা,
“দেরি হল, কাজ অনেক ছিল?”
দাদা চেচাত ছাদ থেকে,
“tension নিবি না কাল থেকে”
“দাদা দিই তোকে মাথা টিপে”
বলে ছোটো বোন বেনী দুলিয়ে,
বুঝলাম ভালোবাসা কত দামী,
সযত্নে চা বানায়, প্রথম স্বাদ নেয় গিন্নী,
ছোটো মেয়ে দেখায় খাতা,
” তোমায় একেছি যে দশ পাতা”।
বন্ধু আমার ধরে হাত,
পিচ্ছিল রাস্তায় না যাই পড়ে,
খারাপ হলে mood,
বলে যখন “চল আসি বাইরে বেড়িয়ে “
ভালবাসা যে পদ্মপাতায় এক ফোটা জল,
আদর করে রেখে দেওয়া এক বিন্দু সম্পর্ক,
নয় সে শুধু কিছুপল হাত ধরাধরি,
নয় সে আঁখিপাতার লুকোচুরি।