হাফ প্যান্ট পড়নে নিরীহ ছেলে পটলা, ন্যাড়া মাথা,সবসময় নাকে সর্দি লেগে আছে,সারাদিন পাড়া ঘুরে বেড়াত।আর পাড়ার সমস্ত দাদা দিদি মাসি পিশির ফাই ফরমাস কাজ করে দিত। এক পায়ের চটিতে সেফটি পিন লাগানো, তবুও কারুর ডিম পাউরুটি, চা, ভারি ব্যাগ বয়ে দেওয়া,ছোটোখাটো বাজার করে দিতে ওস্তাদ। বিশেষ করে ঝুমিদিদির কাজ গুলি। ঝুমিদিদিও ফ্রক পড়ে, মাথায় লাল রিবনের বেনী,ওদিকে আবার নান্টু, পটলের বন্ধু, পটলাকে দিয়ে ঝুমিদিদির সাথে চিঠি আদান প্রদান করে। বয়স পটল আর নান্টুর প্রায় একই।
পটলার খুব ভাল লাগে ঝুমিদিদির কথা শুনতে,তাই অপেক্ষা করে কখন ডাক পড়বে।ঝুমি মিষ্টি কথার মাঝে লেফাফা বন্ধ চিঠি পটলার পকেটে পুরে দেয়। পটলা তাকিয়ে থাকে ততক্ষন ঝুমিদিদির দিকে,দেখে তার বড়বড় চোখ,কালো বাকা ভুরু। বয়েই গেছে কি লেখা আছে চিঠিতে।
পটলা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কিন্তু বুড়ো বটগাছের নিচে বসে,মনে মনে জানায় তার মনের কথা। লেফাফা বন্ধ চিঠিটা বুড়ো বটগাছ না দেখেও পারে পড়তে। তাই পাতা নাড়িয়ে হাসে।তুই তো বোকা বলে।
এইভাবে চলল অনেক দিন,অনেক মাস,অনেক বছর। ঝুমি গেল চলে একদিন। পটলা বুড়ো,বুড়ো বটগাছের নিচে বসে, নিস্তব্ধ চারিদিকে, শোনে কে যেন বলে” কি বোকা রে তুই, মেয়েটা এত চিঠি পাঠাতো নান্টুকে,সে যেন তোকে জানায়, ঝুমি র পছন্দ খুব পটল কে,আর তুই পারলি না বুঝতে, শুধু চোখ দেখে লাভ কি,চোখের ভাষা হয় বুঝতে”।