যত বার ভাবি উড়ে যাব,
কে যেন টেনে রাখে আমায়,
তাই মনকে দেই উড়িয়ে,
আকাশ পানে মেঘের কাছে,
ভিজে তুলোয় লিখে রাখি,
কিছু কথা যা ছিল বাকি,
সময়ের কুঠারিতে দিই ভরে,
সময় হলে পড়ে দেখবে সে।
Month: November 2016
নীলাঞ্জনা
নীলাঞ্জনা, নয় সেই কিশোরী,
নীললোহিতের আজকের নীল চোখে,
আমার কাছে যে সে স্কার্ট পরা,
এক পায়াড়া চুলে লাল বাধা ফিতে,
বলতাম কি অত দেখিস তুই,
নীললোহিতের দিকে তাকিয়ে?
আজ বুঝি, তুই দেখেছিস,
নীললোহিতের আজকের নীল চোখে,
আমার কাছে যে সে স্কার্ট পরা,
এক পায়াড়া চুলে লাল বাধা ফিতে,
বলতাম কি অত দেখিস তুই,
নীললোহিতের দিকে তাকিয়ে?
আজ বুঝি, তুই দেখেছিস,
নীলের দিলখোলা হাসিটা নীলের সাদা চুলে,
নীলের পাশে আছিস ঠিক তেমনই,
যেমন ছিলিস চার দশক আগে।
নীলের পাশে আছিস ঠিক তেমনই,
যেমন ছিলিস চার দশক আগে।
সুখ
আমার বেচে থাকার সমস্ত ইচ্ছা,
দুই বিন্দুতে ঘোরে সর্বদা,
এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে,
অপরটায় বসে তার মা।
দুই বিন্দুতে ঘোরে সর্বদা,
এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে,
অপরটায় বসে তার মা।
নিজের সন্সারে মশগুল তারা,
দৌনিক জীবন রংমশাল হাতে,
হাসি কান্নায় রান্নাবাটি করা,
ভেজা চোখে দেখি আমি,দূরে থেকে।
দৌনিক জীবন রংমশাল হাতে,
হাসি কান্নায় রান্নাবাটি করা,
ভেজা চোখে দেখি আমি,দূরে থেকে।
কতকিছু আসে মনে,
দুইহাত দিয়ে করি আড়াল,
ছোট্ট দুই প্রদীপটি আমার,
আলো করে দুই সন্সার।
দুইহাত দিয়ে করি আড়াল,
ছোট্ট দুই প্রদীপটি আমার,
আলো করে দুই সন্সার।
আমি যে পারিনা কাছে যেতে,
পারিনা যে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে,
পারিনা কেন জরিয়ে ধরতে বুকে,
চিরকাল ঘুরি তাদের চারিপাশে।
পারিনা যে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে,
পারিনা কেন জরিয়ে ধরতে বুকে,
চিরকাল ঘুরি তাদের চারিপাশে।
তবে সেটাই আমার সুখ,
যখন দেখি তাদের হাসিমুখ,
কন্ঠস্বর শুনি যখন ফোনে,
ঝিনঝিন ঘন্টা বাজে মনে।
যখন দেখি তাদের হাসিমুখ,
কন্ঠস্বর শুনি যখন ফোনে,
ঝিনঝিন ঘন্টা বাজে মনে।
রেললাইন
আমরা কিছুজন,
রেললাইন কয়েক যোজন,
রোদ বৃষ্টি বরফে,
নাড়িবার জো নাই রে।
কতকিছু যায় চলে,
বুকের উপরে খরখরিয়ে,
পাথরের উপর চুপচাপ,
কথা বললে বড় পাপ।
সাথী আমার যায় সমান্তরাল,
বয়ে যায় জীবন অনন্তকাল,
তবু এক সান্তনা আছে
রেললাইন কয়েক যোজন,
রোদ বৃষ্টি বরফে,
নাড়িবার জো নাই রে।
কতকিছু যায় চলে,
বুকের উপরে খরখরিয়ে,
পাথরের উপর চুপচাপ,
কথা বললে বড় পাপ।
সাথী আমার যায় সমান্তরাল,
বয়ে যায় জীবন অনন্তকাল,
তবু এক সান্তনা আছে
শেষ হব তবে একসাথে।
আমি তোমার কল্পনায়
ঘুরি উড়াই কল্পনায়,
লুকিয়ে রাখি বটতলায়,
একদিন হবে গাছে নতুন পাতা,
দুইহাতে করব অর্ঘ ,
জীবনের সমস্ত ভালবাসা,
নতুন পাতাসব বুঝবে আমার মন,
অবশ্য, না বুঝলেও ক্ষতি নেই,
সে তো আমার আপনজন।
আমি আছি তার আচলে,
এলাম হঠাত চোরা কাটা হয়ে,
কখনো বা দরপন আমি,
দেখি কি করে সাজো তুমি,
হয়ত তোমার বালিশ হয়ে
গাল টাকে একটু আদর করে
কখনো বা ভেজা চোখ
আলতো করে মুছিয়ে দিয়ে।
গোপন হাস্নুহানার বাস
যখন সময় খারাপ চলে,
তখন ভাবি চাঁদনি রাত,
যখন সময় ভালো,
তখন গরম দূপুরের তপ্ত তাত।
তখন ভাবি চাঁদনি রাত,
যখন সময় ভালো,
তখন গরম দূপুরের তপ্ত তাত।
কিন্তু মনের জানালায়
উকি দেয় যে একজনই,
হাসিমুখে আশা দেয়,
দূরে তবু কাছে থাকে সবসমই।
উকি দেয় যে একজনই,
হাসিমুখে আশা দেয়,
দূরে তবু কাছে থাকে সবসমই।
ভুলে যাই সময় কাল পরিবেশ,
আমি তো কিছু লিখে খালাস,
জোতস্নার মত তোমার আলো,
স্নিগ্ধ গোপন হাস্নুহানার সুবাস।
আমি তো কিছু লিখে খালাস,
জোতস্নার মত তোমার আলো,
স্নিগ্ধ গোপন হাস্নুহানার সুবাস।
তাই যখন তুমি কথা বল,
প্রকাশ তোমার আবেগ যত,
আমার ভাষার খেয়া হারাই
প্রকাশ তোমার আবেগ যত,
আমার ভাষার খেয়া হারাই
প্রাণ ভরে সেই গন্ধ হৃদয়ে নেই।
তুমি কি কেবলি ছবি
রবি প্রকাশে পুরব দিগন্তে,
অপেক্ষারত সুরজ্যমুখীর তরে,
গ্রিবা উঠাইয়া লবঙ্গলতা,
হলুদ বরন শাড়ী পরিয়া,
আপন মনে আলের পাশে
মন্দগতিতে কলসি কাখে চলে,
রবি তাহার লাগি পিছে পিছে
আলোর দীপ লইয়া হাতে,
ললনার গৌড়বরন মুখসম
ঊষ্ণ তাপে উজ্জলিত,
ভাবে রবি,
অপেক্ষারত সুরজ্যমুখীর তরে,
গ্রিবা উঠাইয়া লবঙ্গলতা,
হলুদ বরন শাড়ী পরিয়া,
আপন মনে আলের পাশে
মন্দগতিতে কলসি কাখে চলে,
রবি তাহার লাগি পিছে পিছে
আলোর দীপ লইয়া হাতে,
ললনার গৌড়বরন মুখসম
ঊষ্ণ তাপে উজ্জলিত,
ভাবে রবি,
তুমি কি কেবলি ছবি?