আমার দোকান টা
গরিয়াহাটের মোড়ের কাছে,
পুরানো দোকান ফুটপাথের উপর,
ওই বড় শাড়ির দোকানটার সামনে,
দোকানে আমার ছোটোদের জামাকাপড় থাকে।
বাড়ি আমার অনেক দূরে,
আসি যাই ট্রেনে করে,
সকালে হই বাহির যখন সকাল আটটা,
ফিরি সেই গিয়ে তখন বাজে রাত দশটা।
রোজ সকালে খুলি যখন ঝাপি,
তমাল ভাই খোলে দোকানের তালা,
বাক্স থেকে খুলে সাজাই মনোহরি,
উনি তখন পড়ান ঠাকুরের মালা।
দুইজনে আসি একইসময়,
পার্থ্যক শুধু আমি বসি ভিতরে দোকানে,
উনি বসেন গিয়ে দোরগোড়ায়,
ডাক হাকেন মাঝে ক্রেতা কেনাবার তরে।
ওনার দোকানে আসে অনেকে,
ভারি জামাকাপড় শাড়ি পরে,
তবে খুব কম হাসিমুখে যায় ফিরে,
হাতে দোকানের ব্যাগ নিয়ে।
আমার দোকানে খুব কম আসে,
ছোটোদের জামাকাপড় কিনবে কে,
ছোটো ছোটো রাই কম আসে,
সারাদিন শুধু রই চেয়ে চেয়ে,
কখন আসে নুতন বাবা মা,
বা কোন পুরানো দাদু দিদা।
আমি বাবা ওইরকম পারি না বলতে,
“নিবেন নাকি খুকুখোকার ফ্রক জামা ফিতে?”
বসে থাকি হা পিত্যেস করে,
কেউ ইচ্ছে করে কিছু যদি কিনতে।
ঘরেতে বড় হয় দুটি মেয়ে আমার,
বড় হয় আমি ছাড়া সেই মায়ের কাছে,
কিনেছিলাম জামা সেই গতবার,
এখনো গায় দিয়ে যায় রোজ বাইরে।
গরম ভীষন আমি চালাই হাতপাখা,
তমাল ভাই মাঝে যায় দোকানের ভিতর
খেয়ে আসেন এসির ঠান্ডা হাওয়া,
আমি ঢুলি আমার দোকানে বাক্সর উপর।
তবুও ভাবি, আমি যা পাই,
যতটা আমি কামাই,
তমাল ভাই এর সেই উপায় নাই,
মাস শেষে শুধু হিসেবমেলাই।।
https://www.youtube.com/watch?v=djcBUhsoCEc
বুধ, ২৬ জুন, ২০১৯ তারিখে ৭:৫৬ AM টায় এ Pen and paper লিখেছেন:
> gautammridha posted: “আমার দোকান টা গরিয়াহাটের মোড়ের কাছে, পুরানো দোকান
> ফুটপাথের উপর, ওই বড় শাড়ির দোকানটার সামনে, দোকানে আমার ছোটোদের জামাকাপড়
> থাকে। বাড়ি আমার অনেক দূরে, আসি যাই ট্রেনে করে, সকালে হই বাহির যখন সকাল
> আটটা, ফিরি সেই গিয়ে তখন বাজে রাত দশটা। রোজ সকালে খুলি যখন ঝ”
>
LikeLike